ইন্টার্নশিপ এর ধরন

সাধারণত ইন্টার্নশিপ ২ ধরনের হয়ে থাকেঃ

১। পেইড ইন্টার্নশিপ এবং
২। আনপেইড ইন্টার্নশিপ।

যারা ইন্টার্নশিপ করে তাদের বলা হয় ইন্টার্ন।

পেইড ইন্টার্নশিপঃ
পেইড ইন্টার্নশিপ হচ্ছে, ফ্রেশার বা গ্রাজুয়েশন স্টূডেন্টরা কোন কোম্পানিতে কাজ করবে এবং মাস শেষে কোম্পানির সাইজ, ধরন এবং পলিসি অনুযায়ী শুধু একটা নামমাত্র মসিক ফি পাবে। সেটা ৩,০০০-১০,০০০/- টাকাও হতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় সে ওই কোম্পানির এমপ্লয়ি।

আনপেইড ইন্টার্নশিপঃ
আর আনপেইড ইন্টার্নশিপ হচ্ছে, কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তাকে সেখানে সুযোগ দেয়া হবে কিন্তু সেজন্য তাকে কোন টাকা দেয়া হবে না। এরকম ইন্টার্শিপ সাধারণত যে কেউ করতে পারে তার শেখা কোন নির্ধারিত বিষয়ের উপর নির্ধারিত কোন কোম্পানিতে যা তার কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট।

আবার কিছু ইন্টার্নশিপ আছে যেগুলো ইন্টার্নদের পে করে করতে হয়। এ ধরনের বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে ইন্টার্নকে ট্রেনিং দেয়া হয় এবং হাতে কলমে শিখানো হয়।

ইন্টার্শিপ এর মেয়াদ বা সময়সীমা –

ইন্টার্শিপ এক মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদকালীন হতে পারে। পার্ট টাইম ইন্টার্নশিপ ২০ ঘন্টা আর ফুল টাইম ইন্টার্নশিপ ৪০ ঘন্টা পর্যন্ত সাধারণত হয়ে থাকে। কেউ কেউ কন্ট্রাক্ট বেসিস এ ইন্টার্শিপ করে তাদের সময়সীমা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করা হয়।

কখন বুঝবেন আপনার ইন্টার্শিপ করা প্রয়োজন?

ফ্রেশারদের ইন্টার্নশিপ করার প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি!
মধ্যবিত্ত আয়ের দেশের তুলনায় উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ইন্টার্শিপ এর প্রচলন অনেক বেশী। কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তারা ইন্টার্নশিপকে অপরিহার্য একটি বিষয় বলে মনে করে। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশনা শেষ করে কিংবা কোন টেকনিক্যাল কোর্স করে প্রাক্টিক্যাল লাইফের কাজের ধারনাটা পাওয়া কঠিন। তাই ইন্টার্ভিউগুলোতে গিয়ে কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন প্রশ্ন করলে দেখা যায় ক্যান্ডিডেট যত ভালোই স্টুডেন্ট হোক না কেন বা উচ্চ ডিগ্রীধারী হোক না কেন সেসব প্রশ্নের কাছে হিমশিম খেয়ে যায়। কারন থিওরি সে অনেক ভাল জানলেও বাস্তবগত অভিজ্ঞতা তার নেই। তাই ইন্টার্নশিপ করাটাকে বলা চলে চাকুরি জীবনে প্রবেশের আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নেবার এটা একটা চমৎকার শিক্ষানবিশকাল।

তাই শর্ট হোক আর লং ভালো একজন দক্ষ কর্মি হয়ে প্রফেশনে প্রবেশ করার জন্য ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম করাটা খুবই জরুরী।

ইন্টার্নশিপ এর সুবিধা অসুবিধা –

ইন্টার্নশিপ করলে কোন অসুবিধা নেই বরং লাভ আছে। প্রথমত, কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাওয়া যায়। তার উপর একটি অফিসে অনেকের মাঝে থেকে কাজের পরিবেশের মাধ্যমে টিম ওয়ার্কটাও শেখা যায়। সাধারণত কোম্পানিগুলোর সব সময়ই দক্ষ লোকদের প্রয়োজন। ইন্টার্শিপ করার সময় এমপ্লয়ারদের ইন্টার্নদের প্রতি লক্ষ্য থাকে। এবং মেধাবীদের ফুল টাইম অফার দিয়ে পারমানেন্ট করে নেয়। ফলে ইন্টার্নশিপ করাকালীনই নিজের দক্ষতাকে প্রমান করে চাকরী প্রাপ্তিটা অনেক সহজ হতে পারে।

একটি কমন ভুল ও সাজেশন –

ভুলে গেলে চলবে না যে, ইন্টার্নশিপ হচ্ছে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নিজের দক্ষতাকে শান দেয়া। অনেকে পেইড ইন্টার্নশিপ এ ঢুকে ক্ষুদ্র স্বার্থ সিদ্ধি লাভটাকেই প্রাধান্য দিয়ে ফেলে। ইন্টার্নশিপ করাকালীন সময়ই সহজেই সে নিজেও বুঝতে পারে তার জানা অজানার ঘাটতি কতটুকু আছে। সেক্ষেত্রে তার সীমাবদ্ধতাকে অবহেলা না করে বরং ঘাটতিগুলোকে শুধরে নেয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিৎ।

মোটামুটি সব বড় মাঝারি কোম্পানিগুলোতেই ই ইন্টার্নশিপ এর সুযোগ থাকে। আগ্রহীরা যার যার বিষয়ের ধরন বুঝে গুগোলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম এর অপুরচুনিটিগুলো।